সিলেটপ্রেস ডেস্ক :: বাহুবলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ভাবীকে ধর্ষণ করেছে দেবর এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় মেম্বার ধর্ষক ওয়াহিদ মিয়াকে আটক করেও রফাদফার মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন। এদিকে, ধর্ষণের শিকার স্বামী তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারী হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রাতে সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি ওই নারী জানান, ৫ বছর আগে বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর গ্রামের জমির আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। জমির আলী পেশায় একজন গাড়ি চালক। প্রায়ই জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকেন। এ সুযোগে একই গ্রামের দুসম্পর্কের দেবর মৃত বেল্লা মিয়ার ছেলে ওয়াহিদের (২২)। জমির আলী বাড়ি না থাকার সুযোগে সে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতো। কিন্তু তিনি লজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাতেন না ওই নারী। সম্প্রতি ওয়াহিদ গভীররাতে ওই নারীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে বিভিন্নস্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
গত মঙ্গলবার গভীররাতে পুনরায় ওই গৃহবধূকে বাড়ির পাশে করাঙ্গী নদীর পাড়ে একটি ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওয়াহিদ ধর্ষণ করার পর তার বন্ধু জাহিদ, আব্দুল্লা ও হারিছের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করার কথা বলে। এতে সে রাজি না হলে তাকে মারপিট শুরু করে।
এক পর্যায়ে সে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ও মেম্বার নাছিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াহিদকে আটক করেন। বুধবার বিষয়টি সমাধানের কথা বলে রফাদফার মাধ্যমে মেম্বার ওয়াহিদকে ছেড়ে দেন।
এদিকে, বিষয়টি তার স্বামী জানতে পেরে গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। অবশেষে বিষয়টি সমাধান হওয়ায় বৃহস্পতিবার ওই নারী হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ বিষয়ে বাহুবল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু যাবার আগেই ওয়াহিদকে স্থানীয় লোকজন ছেড়ে দেয়। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটপ্রেসবিডিডটকম /১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১/ এফ কে