সিলেটপ্রেস ডেস্ক :: আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বহুল প্রতীক্ষিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসছে ভারত থেকে। এই পর্যায়ে ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো হচ্ছে ২০ লাখ ডোজ। এরপর জানুয়ারির শেষ দিকে ধারাবাহিকভাবে আসতে শুরু করবে ৩ কোটি ডোজ কেনা ভ্যাকসিন। এদিকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে।
ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে টাকা পরিশোধ করতে হবে নাকি বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে- এ নিয়ে এতদিন একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে আজ (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসের বাজেট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বিষয়টা স্পষ্ট করলেন। তিনি বলেছেন, পর্যায়ক্রমে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সব নাগরিককেই বিনামূল্যে টিকার আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সরকার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। আমদানি ও প্রয়োগের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করে প্রকল্পটির কলেবর বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন, ফেব্রুয়ারির আগেই হয়তো টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন ২ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কর্মসূচি ঠিক করেছি আমরা। প্রথম পর্যায়ে সিটি করপোরেশনগুলোর বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া হবে। জেলা-উপজেলা হয়ে তারপর এই কর্মসূচির আওতায় আসবে প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রস্তুতি সম্পর্কে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম জানান, ২৯টি জেলায় টিকা সংরক্ষণের ‘ওয়াক ইন কুল’ রয়েছে। আরো ১৮টি জেলায় এই সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় থাকা হিমায়িত বাক্সে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থায় (আইএলআর) টিকা রাখা হবে। এটি পরিবহন করা হবে আলাদা হিমায়িত বাক্সে।
‘এছাড়া তিনটি বিকল্প জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- মহাখালীর টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়, তেজগাঁওয়ে নিজস্ব সংরক্ষণাগার ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগার।’ জানান অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম।
সিলেটপ্রেসবিডিডটকম /২০ জানুয়ারি ২০২১/ এফ কে