রেজওয়ান আহমদ :: সিলেট নগরীতে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত দুই মাসে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের ও আহত হয়েছেন অনেকেই। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। নগরীর ভেতর যানবাহনের গতি কমিয়ে চালানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না চালকরা। ব্যস্ততম এলাকা হওয়ার পরও নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে যানবাহন চাচ্ছেন তারা । বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের চালকরা বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছেন। যার কারণে নগরীতে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকরা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে যানবাহন চালালেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
গত ২৩ নভেম্বর সোমবার ভোর রাত পৌনে ৩টার দিকে আম্বরখানা এলাকার পলাশ হোটেলর সামনে ট্রাক চাপায় ইমরান ডালি (২০) নামের এক যুবক নিহত হন। নিহত ইমরান বিমানবন্দর থানাধীন রঙ্গিটিলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। ট্রাক চাপায় নিহত ইমরানের পুরো মাথা থেতলে যাওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
২১ শে ডিসেম্বর রবিবার বিকেল চারটায় দক্ষিণ সুরমায় এনা পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী সাহেদ আহমদ( ৪০)। নিহত সাহেদ আহমদ নগরীর শাহী ঈদগাহ হোসনাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
৮ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টায় নগরীর এয়ারপোর্ট সড়কে একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এ ঘটনায় দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়।
৯ জানুয়ারি শনিবার রাত পৌনে একটায় এয়ারপোর্ট সড়কের খাসদবীর এলাকায় মাদানী মসজিদের সামনে ট্রাকচাপায় নিহত হন সাবেক ছাত্রদল নেতা আতাউর রহমান কুটি।
সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি সোমবার রাত দশটায় ফাজিল চিশত এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রদলকর্মী সজীব ২৭ ও লুৎফুর ২৫। নিহত সজীবের বাসা নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এবং লুৎফুরের বাসা জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
সিলেটপ্রেসবিডিডটকম /১২ জানুয়ারি ২০২১/ এফ কে