বাহুবল প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কালিশিরী নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মাঝে্ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।২১ নভেম্বর শনিবার মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের ফতেহপুর বাজারে ঘন্টাব্যাপি এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসশস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার বিকালে কালাখারুৈল গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়ার সাথে ফতেহপুর গ্রামের মৃত আকবর উল্লাহর পুত্র সোনাই মিয়া ও সুজন মিয়ার কালীশ্বরী নদীতে মাছ ধরা নিয়ে বাক- বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে ওই সময় স্থানীয় ফতেহপুর বাজারে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলো আল আমিন(২৫), লুৎফুর(২২), সুজন(২৫), জুয়েল মিয়া(৩২), হান্নান মিয়া(৩৫) সহ ২০/২৫ জন।কালাখারুল গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রতি বছর ফতেহপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলী আমিনী, সুরুক মিয়া, আব্দুর নুর ও মুকিত মোল্লা কালিশ্বরী নদীতে জোরপূর্বক( কাটা) দিয়ে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে।
কালাখারুল গ্রামের সাবেক মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাদের লোকজন নিয়ে সরকারী নদীতে জোরপূর্বক কাটা দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করি। শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ফতেহপুর বাজারে আমার ভাতিজা জুয়েল মিয়াকে সোনাই মিয়া ও সুজন মিয়া মারধোর করে।
এ খবর পেয়ে কালাখারুল গ্রামের লোকজন জুয়েলকে বাচাতে ফতেহপুর বাজারে গেলে তারা দলবদ্ধ হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ২০ জন আহত হয়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ৮টার দিকে ফতেহপুর বাজারে থানা পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান সহ জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে পরিস্হিতি শান্ত হয়। ঘটনা স্হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।বিষয় টি নিয়ে দু’গ্রামবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সিলেটপ্রেসবিডিডটকম /২২ নভেম্বর ২০২০/এফ কে